কম্বোডিয়ায় পদ্মের কাণ্ড থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের সুতা
কম্বোডিয়ায় পদ্মের কাণ্ড থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের সুতা
রেশম থেকে উন্নতমানের
সুতা তৈরির
কথা আমাদের
সবারই কম
বেশি জানা।
কিন্তু যদি
বলা হয়
পদ্ম ফুলের
কাণ্ড থেকে
সুতা তৈরির
কথা; তাহলে
হয়তো অবাক
হবেন অনেকেই।
বিস্ময়কর হলেও
এই কাজে
পারদর্শিতা দেখিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে কম্বোডিয়ানরা।
পদ্ম। এশিয়ার অনেক দেশেই ফুলটির পরিচিতি সৌন্দর্য, শুদ্ধতা আর আরাধনার প্রতীক রূপে।
এসবের বাইরেও পদ্মের রয়েছে বিশেষ একটি গুণ। উন্নতমানের সুতা তৈরি হয় এই ফুলের ডাল থেকে। সেই সুতার কাপড় শুধু আকর্ষণীয়ই নয় বেশ আরমদায়ও বটে।
বর্ষার সময় দিনে চার বার বাড়িরে পাশের লেক থেকে পদ্ম সংগ্রহ করেন লিওয়ের পল নামের এক চাষী। শুরুতে শুধু বীজ আর ফুল বিক্রির ওপরের নির্ভরশীল হলেও এখন কাণ্ড বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ফুল আর বীজ বিক্রি করে খুব কমই রোজগার করতাম। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ফুলের কাণ্ড বিক্রি করে আমি বেশ ভালো লাভ পাচ্ছি। পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছি।”
লিওয়ের পলের মতো চাষীরা এসব কাণ্ড বিক্রি করেন স্থানীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর কাছে। এ ধরণের একটি ফ্যাশন হাউস, ‘সামাতোয়ার’ প্রতিষ্ঠতা অ্যায়েন ডেলাভির। সুতা তৈরির সঙ্গে এখানে জড়িত আছেন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক।
শুরুতে ধারালো ছুরি দিয়ে পদ্ম কাণ্ডে আলতো আচড় দেন শ্রমিকরা। পরে আচড় কাটা অংশ থেকে সাবধানে বের করে আনা হয় সাদা তন্তু। কাঠের পাটাতনে এই তন্তু পেচিয়ে তৈরি হয় সুতা। শুকানোর পর ওই সুতা চাকায় তুলে আনার সময় ফেলা দেয়া হয় অপ্রত্যাশিত অংশ। কাপড় বুননে অনুসরণ করা হয় ঐতিহ্যবাহী থাই এবং বার্মিজ পদ্ধতি।
অ্যায়েন ডেলাভির ফ্যাশন হাউসের প্রতিষ্ঠাতা বলেন,
” পদ্ম কাণ্ড থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশ বান্ধব। তবে এই কাজে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।”
এক মিটার কাপড় তৈরিতে প্রয়োজন হয় তিন হাজার মিটার সুতা, যা তৈরি হয় ১৭ হাজার কাণ্ড থেকে। এছাড়া পদ্ম ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয় আকর্ষণীয় অলঙ্কার। ফুল থেকে তৈরি হয় সুগন্ধি, ভেষজ চা ও কফি তৈরির উপাদান।
পদ্ম। এশিয়ার অনেক দেশেই ফুলটির পরিচিতি সৌন্দর্য, শুদ্ধতা আর আরাধনার প্রতীক রূপে।
এসবের বাইরেও পদ্মের রয়েছে বিশেষ একটি গুণ। উন্নতমানের সুতা তৈরি হয় এই ফুলের ডাল থেকে। সেই সুতার কাপড় শুধু আকর্ষণীয়ই নয় বেশ আরমদায়ও বটে।
বর্ষার সময় দিনে চার বার বাড়িরে পাশের লেক থেকে পদ্ম সংগ্রহ করেন লিওয়ের পল নামের এক চাষী। শুরুতে শুধু বীজ আর ফুল বিক্রির ওপরের নির্ভরশীল হলেও এখন কাণ্ড বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ফুল আর বীজ বিক্রি করে খুব কমই রোজগার করতাম। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ফুলের কাণ্ড বিক্রি করে আমি বেশ ভালো লাভ পাচ্ছি। পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছি।”
লিওয়ের পলের মতো চাষীরা এসব কাণ্ড বিক্রি করেন স্থানীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর কাছে। এ ধরণের একটি ফ্যাশন হাউস, ‘সামাতোয়ার’ প্রতিষ্ঠতা অ্যায়েন ডেলাভির। সুতা তৈরির সঙ্গে এখানে জড়িত আছেন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক।
শুরুতে ধারালো ছুরি দিয়ে পদ্ম কাণ্ডে আলতো আচড় দেন শ্রমিকরা। পরে আচড় কাটা অংশ থেকে সাবধানে বের করে আনা হয় সাদা তন্তু। কাঠের পাটাতনে এই তন্তু পেচিয়ে তৈরি হয় সুতা। শুকানোর পর ওই সুতা চাকায় তুলে আনার সময় ফেলা দেয়া হয় অপ্রত্যাশিত অংশ। কাপড় বুননে অনুসরণ করা হয় ঐতিহ্যবাহী থাই এবং বার্মিজ পদ্ধতি।
অ্যায়েন ডেলাভির ফ্যাশন হাউসের প্রতিষ্ঠাতা বলেন,
” পদ্ম কাণ্ড থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশ বান্ধব। তবে এই কাজে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।”
এক মিটার কাপড় তৈরিতে প্রয়োজন হয় তিন হাজার মিটার সুতা, যা তৈরি হয় ১৭ হাজার কাণ্ড থেকে। এছাড়া পদ্ম ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয় আকর্ষণীয় অলঙ্কার। ফুল থেকে তৈরি হয় সুগন্ধি, ভেষজ চা ও কফি তৈরির উপাদান।
Comments
Post a Comment